Posts

SECC LIST 2011
Job card Details mgnrega
PMAY A/C

এক পশলা বৃষ্টি

Image
Type your search quer গল্প এক পশলা বৃষ্টি শ্রাবণ মাস,কিছুক্ষণ আগে এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেল, মাটির সোদা গন্ধ তখনও ফিকে হয়ে যায়নি। আকাশের ঘন মেঘের ফাঁক দিয়ে এক চিলতে স্বর্ণালী রোদ আলিঙ্গন করছে মাটির পৃথিবীকে, আর তারই মাঝে টুপটাপ করে ঝরে পড়ছে বৃষ্টির চুম্বন । এমনই শ্রান্ত বরষার স্নিগ্ধ সকালে সোনামুখী বাসস্ট্যান্ডে হেমন্তের সাথে প্রথম দেখা হয় শ্রাবণীর, তারপর অালাপ দুজনের। শ্রাবণী তখন অষ্টাদশী অার হেমন্ত বাইশ বছরের ফুটফুটে যৌবন। সেদিন ২২ শে শ্রাবনের বিকেলবেলা, সোনামুখী নদীর নিরালা ঘাটে হেমন্ত শ্রাবণীকে বলল– “অামি তোমাকে ভালোবাসি। ” বর্ষার অশান্ত নদীর মতো চঞ্চল হয়ে উঠল শ্রাবণীর দুচোখ, স্নিগ্ধ গোলাপের পাপড়ির মতো মুখখানি রাঙা হয়ে উঠল তার।অষ্টাদশী বালিকার সারা শরীরে এক অদ্ভুত শিহরণ খেলে যায়। দুহাত দিয়ে মুখখানি লুকাবার ব্যার্থ চেষ্টা করে সে।নিজেকে কোনোমতে সম্বরণ করে লজ্জাশীলা শ্রাবণী নত মুখে বলল–“কেন ভালোবাসো অামায়..?” “তোমাকে ভালোলাগে তাই ভালোবাসি ” — হেমন্তের উত্তরে শ্রাবণীর রমণী হৃদয় অারো কোমল, অারো চঞ্চল হয়ে উঠল। ঝরঝরিয়ে বৃষ্টি এল, কালো মেঘের অালোর
অামরা কি সত্যি সমাজকর্মী...?  "অামরা "সামাজিক নীরিক্ষক",   সরকার কর্তৃক প্রেরিত সকল প্রকল্পের টাকা উপভোক্তারা সঠিক পাচ্ছে কিনা তা দেখে রিপোর্ট দেওয়াই অামাদের কাজ।  কিন্তু তার পরেও অার কোনো সামাজিক দায়িত্ব নেই অামাদের। এমনই একটি দিনের কাজের অভিঞ্জতা......" VRP :- বাড়িতে কে অাছেন? গৃহকর্ত্রী  :- কে...? VRP:- অামরা BDO থেকে অাসছি। ইসমাইল মোল্লা কে...? গৃহকর্ত্রী :- অামার শ্বশুর।  কেন..? VRP:- ও.. উনি কোথায়..? গৃহকর্ত্রী :- ওই তো ঘরের মধ্যে...। বাবা...  বাইরে অাসুন। উপভোক্তা:- কি ব্যাপার বৌমা?  এরা কারা..? গৃহকর্ত্রী :-বলছে তো BDO থেকে অাসছেন, দেখুন না অাপনি। VRP:- অাপনি ইসমাইল মোল্লা..? উপভোক্তা:- হ্যাঁ অামি। VRP:- অাপনি বেঁচে অাছেন তো..? মানে অাপনি বার্ধক্যভাতা পান তো..? উপভোক্তা:- হ্যাঁ পাই, কিন্তু মাত্র ৪০০ টাকা করে দেয়,  এতে কি চলে বলুন। অার একটু টাকা বাড়ালে ভালো হতো। VRP:- অাপনি টাকা না পেলে বলুন, তা ছাড়া অামরা কিছু করতে পারব না। উপভোক্তা:- ও... ঠিক অাছে। উপভোক্তার প্রতিবেশিনী :- অামার শ্বশুরের তো ৬৫ বছর বয়স একটা বয়স্কভাতা করে দেওয়া যায় না..??

যারা অামাদের কথা বোঝে*

প্রতিদিনের  মতোই অামি অার অামার সহকর্মী হেমন্ত বেরিয়ে পড়লাম social work করতে। মুলত ডেঙ্গু নিয়েই সচেতন করা অার গ্রামের মানুষ কেমন অাছে তার খোঁজখবর নেওয়া এবং দিনের শেষে একটা তথ্য দেওয়াই অামাদের কাজ। সেদিন সবে মাত্র ১০ টা বাড়ি তথ্য নিয়েছি পরের বাড়িটায় ঢুকতে যাব এমন সময় দেখি একটা কুকুর ঘেউঘেউ করছে দরজার সামনে....। অামরা তো ভয় পেলাম কিন্তু তবুও একটু সাহস করে বাড়ির কর্তাকে ডাক দিলাম। ব্যাস... কুকুর টি তখন একেবারে হিংস্র বাঘের মতো লাফ দিয়ে সামনে এসে প্রচন্ড স্বরে ডাকতে অারম্ভ করল। অামরা তো এক লাফে রাস্তায় এসে হাজির। কিন্তু কুকুরটিও ছাড়বার পাত্র নয়,  হেমন্ত একটু হাসি হাসি মুখ করে কুকুর কে বলল..---" যা, যা বাবু সোনা...অারে অামরা চোর নই.. তোর মালিক কে মশা তাড়াবার জন্য সচেতন করতে এসেছি..। কামড়াস না ভাই... দেখ অামরা ৪ মাস ধরে মাহিনা পাইনি।  অনেক কষ্ট করে  খুব সামান্য বেতনে এই মশা মারা চাকরী টা জোগাড় করেছি। Please  তুই এভাবে কামড়ে দিয়ে অামাদের  বিপদে ফেলিস না।" কুকুরটি শান্ত হয়ে ঘ্যাও ঘ্যাও করতে করতে অামাদের পায়ের সামনে এসে শুয়ে পড়ল।  হেমন্ত তার গায়ে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলল -- "তু